, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে জমজমাট ক্যাসিনো জুয়া ?

  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ১৯৭ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

রাজধানীর পাড়া মহল্লায় চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। তিন তাস, কাইট, হাজারী, কেরামসহ বিভিন্ন আইটেমের জুয়ার আসরে লাখ লাখ টাকার কারবার চলে। ক্লাব, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের অফিস, সমিতির অফিস, মার্কেট ও দোকান ঘরে এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, এলাকার মাস্তান, পেশাদার ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এমনকি দিনমজুরও অংশগ্রহণ করে। কোনো কোনো এলাকায় জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক মাদকের স্পট। চলছে হরহামে সায় মাদক বেচাকেনা। উঠতি বয়সিরা জুয়া ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে অবিভাবকরা উদ্বিগ্ন।

দৈনিক কালের বার্তা অপরাধ অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ আল করিম জেনারেল হাসপাতাল এর পিছনে ১৭নং বাড়ির ২য় তলার বেশ কয়েকটি রুমে চলছে ক্যাসিনো- জুয়ার আসর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় এই অবৈধ কার্যকলাপ, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে।

সূত্র জানায়, ১৭ নং ভবনটির ২য় তলার কয়েকটি ফ্ল্যাটে চলা এই জুয়ার আসরে অংশ নেয় স্থানীয় ও বাইরের লোকজন। প্রবেশে রয়েছে কঠোর নিয়ম—নির্দিষ্ট পরিচিতি ও গোপন সংকেত ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন ক্যাসিনো স্টাইলের খেলা পরিচালনা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে কাটাকাটি , ফ্লাস সহ বাহারী নামের জুয়া।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিনিয়ত বহিরাগতদের আনাগোনা, উচ্চ শব্দ এবং রাতে সন্দেহজনক চলাফেরায় তারা আতঙ্কিত। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি সাহেব এখান থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকেন স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠন গুলো একাধিকবার যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জকে

মৌখিকভাবে জানালেও এখনো কোনো অদৃশ্য কারণে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নেই।

এছাড়াও সায়েদাবাদ আল করিম জেনারেল হাসপাতালের পাশের গলিতে বসবাস করছেন একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, “আমরা পরিবার নিয়ে এই এলাকায় থাকি বহু বছর ধরে কিন্তু কয়েক মাস যাবত। প্রতিদিন অচেনা লোকজন আসে, রাতের বেলা হৈ চৈ করে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” পরবর্তী শুনতে পারি ১৭নং বাড়ির ২য় তলায় ক্যাসিনো জুয়ার আসর পরিচালনা হয়ে আসছে তাই বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেশি।

এ বিষয়ে একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার বিএনপি নেতা ভান্ডারী সাহেব এই ১৭ নং জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রন করে আসছেন কয়েক মাস যাবত“ ক্যাসিনো জুয়া ও মাদক হয়ে আসছে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি কিন্তু বিএনপি নেতা ভান্ডারী লোকজন নিয়ন্ত্রন করে আসছেন।

এজন্য কেউ প্রতিবাদ করলে জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রন করতে রয়েছে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে অমমানবিক নির্যাতন তাই প্রতিবাদ করলে সাহস নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাসিক এলাকায় এভাবে গোপনে ক্যাসিনো চালানো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি শুধু সামাজিক অপরাধ নয়, এলাকায় চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধের সৃষ্টি হতে পারে এছাড়াও,অস্ত্র ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এবিষয় নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে আশ্বাস দেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিন্তু প্রতিবেদক ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করলেও কোন রকম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নেই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

 

 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে জমজমাট ক্যাসিনো জুয়া ?

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক 

রাজধানীর পাড়া মহল্লায় চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। তিন তাস, কাইট, হাজারী, কেরামসহ বিভিন্ন আইটেমের জুয়ার আসরে লাখ লাখ টাকার কারবার চলে। ক্লাব, রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের অফিস, সমিতির অফিস, মার্কেট ও দোকান ঘরে এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, এলাকার মাস্তান, পেশাদার ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এমনকি দিনমজুরও অংশগ্রহণ করে। কোনো কোনো এলাকায় জুয়ার আসরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক মাদকের স্পট। চলছে হরহামে সায় মাদক বেচাকেনা। উঠতি বয়সিরা জুয়া ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে অবিভাবকরা উদ্বিগ্ন।

দৈনিক কালের বার্তা অপরাধ অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ আল করিম জেনারেল হাসপাতাল এর পিছনে ১৭নং বাড়ির ২য় তলার বেশ কয়েকটি রুমে চলছে ক্যাসিনো- জুয়ার আসর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় এই অবৈধ কার্যকলাপ, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে।

সূত্র জানায়, ১৭ নং ভবনটির ২য় তলার কয়েকটি ফ্ল্যাটে চলা এই জুয়ার আসরে অংশ নেয় স্থানীয় ও বাইরের লোকজন। প্রবেশে রয়েছে কঠোর নিয়ম—নির্দিষ্ট পরিচিতি ও গোপন সংকেত ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন ক্যাসিনো স্টাইলের খেলা পরিচালনা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে কাটাকাটি , ফ্লাস সহ বাহারী নামের জুয়া।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিনিয়ত বহিরাগতদের আনাগোনা, উচ্চ শব্দ এবং রাতে সন্দেহজনক চলাফেরায় তারা আতঙ্কিত। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি সাহেব এখান থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকেন স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠন গুলো একাধিকবার যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জকে

মৌখিকভাবে জানালেও এখনো কোনো অদৃশ্য কারণে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নেই।

এছাড়াও সায়েদাবাদ আল করিম জেনারেল হাসপাতালের পাশের গলিতে বসবাস করছেন একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, “আমরা পরিবার নিয়ে এই এলাকায় থাকি বহু বছর ধরে কিন্তু কয়েক মাস যাবত। প্রতিদিন অচেনা লোকজন আসে, রাতের বেলা হৈ চৈ করে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” পরবর্তী শুনতে পারি ১৭নং বাড়ির ২য় তলায় ক্যাসিনো জুয়ার আসর পরিচালনা হয়ে আসছে তাই বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেশি।

এ বিষয়ে একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার বিএনপি নেতা ভান্ডারী সাহেব এই ১৭ নং জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রন করে আসছেন কয়েক মাস যাবত“ ক্যাসিনো জুয়া ও মাদক হয়ে আসছে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি কিন্তু বিএনপি নেতা ভান্ডারী লোকজন নিয়ন্ত্রন করে আসছেন।

এজন্য কেউ প্রতিবাদ করলে জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রন করতে রয়েছে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে অমমানবিক নির্যাতন তাই প্রতিবাদ করলে সাহস নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাসিক এলাকায় এভাবে গোপনে ক্যাসিনো চালানো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি শুধু সামাজিক অপরাধ নয়, এলাকায় চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধের সৃষ্টি হতে পারে এছাড়াও,অস্ত্র ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এবিষয় নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে আশ্বাস দেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিন্তু প্রতিবেদক ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করলেও কোন রকম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নেই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।