
* কাঠের চশমায় যেনো ধরেছে মরিচা ?
* আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের তথ্য আগেই জানেন জুয়া নিয়ন্ত্রণকারী !
* ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে আবারো ক্যাসিনো জুয়া ?
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলনীতিগুলোর অন্যতম একটি জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা। জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা হানিকর এমন সব কাজ সংবিধানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুয়া খেলা একটি অনৈতিক কাজ। সংবিধানে বলা হয়েছে- জুয়া খেলা নিরোধে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জুয়া হরেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন- তাস দিয়ে, ঘোড়দৌড়ের বাজির,মাধ্যমে, ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি খেলায় কোন দল জিতবে এ নিয়ে বাজি ধরা, কেসিনো, হাউজির মাধ্যমে জুয়া খেলা প্রভৃতি। উপরোক্ত সব ধরনের জুয়াখেলাই আমাদের সংবিধান এবং দেশে প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ। কিন্তু আবারো রাজধানীতে জুয়ারি সিন্ডিকেট গুলো কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে আসছে জুয়ার আসর।
ভাগ্য নির্ণয় করে এমন যে খেলা, তাস দিয়ে বাহাড়ী নামের জুয়া, লটারি বা ক্যাসিনো যাই বলি না কেন টাকা দিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করা সকল খেলা দেশের প্রচলিত জুয়া আইনে অপরাধ স্রাম্পতিক সময়ে রাজধানী সহ সারাদেশে বড় বড় ক্যাসিনো নামক জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে দমানো গেলেও খোদ রাজধানীর গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে আবারো চলছে জমজমাট জুয়ার আসর ।
রাজধানীর ডিএমপি পুলিশের আওতাধীন মতিঝিল থানাধীন গোপীবাগ এলাকায় অবস্থিত ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে আবারো জমজমাট ভাবে শুরু করেছেন জুয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের জুয়ার আসরটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন সভাপতি হওয়ায় কোন এক অদুশ্য কারনে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ।
কালের বার্তা অনুসন্ধানে জানা যায়, বৃদ্ধ-যুবক থেকে শুরু করে সব ধরনের নিম্নবৃত্ত মানুষ ভাগ্য পরিবর্তন করার প্রলোভনে পড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের জুয়ার আসরে নিশ্ব হয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন শতশত পরিবার ।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব কর্তৃপক্ষ দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন আনোয়ার সিন্ডিকেট । অভিযোগকারীরা আরো বলছেন, আশপাশে মতিঝিল থানা পুলিশের ডিউটি গাড়ি এসে প্রতিদিন এসে টাকা নিয়ে যায় এজন্যই কিন্তু এদের কিছুই বলে না। পুলিশ ও র্যাবের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে, তবুও থেমে নেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের জুয়ার আসর। এ নিয়ে গোপিবাগ এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন। কিন্তু অসহায় সবাই।
* দেশের জুয়া আইন কী বলে?
জানতে কথা হয় একাধিক বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে তারা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে ‘ক্যাসিনো এবং’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো কার্যকারিতাও নেই। তবে, ’৭২-এর সংবিধানে জুয়া নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন কার্যকরী ও কঠোর আইন।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোটের আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান।
এবিষয়ে মতিঝিল থানার অফিসার্স ইনচার্জের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।